জ্যন্ত মাছ খেয়েই সেরে যাচ্ছে হাঁপানির মত ক্রনিক রোগ উধাও
জ্যন্ত মাছ খেয়েই সেরে যাচ্ছে হাঁপানির মত ক্রনিক রোগ। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। ভারতে মেলে সেই ওষুধ। হায়দরাবাদের এক পরিবার প্রায় দেড়শ বছর ধরে দিয়ে আসছেন এই ওষুধ, যার নাম ‘ফিশ প্রসাদম।’ দেশ-বিদেশ থেকে প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে সেই ওষুধ খান, আর তাতেই নাকি এই দীর্ঘদিনেত রোগ একেবারে উধাও হয়ে যায়।
ভারতের হায়দরাবাদের ‘বাথিনি গউদ’ পরিবারের তরফ থেকে এই ওষুধ দেওয়া হয়। জ্যন্ত শোল মাছের পেটে পুরে দেওয়া হয় এক ধরনের হলুদ রঙের পেস্ট। আর সেটাই খেয়ে নিতে হয় হাঁপানির রোগীদের। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারেই নামফালি এক্সিবিশন গ্রাউন্ডে ওই পরিবার ৪৭০০০ অ্যাজমা রোগীকে এই ওষুধ দিয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আরও অনেককে এই ওষুধ দেওয়া হয়। অতীতে বহু গবেষক এই ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু রোগীর ভিড় কমেনি। প্রত্যেক বছর এমন দিনেই দেওয়া হয় ওই বিশেষ ওষুধ। স্থানীয় কলেজের এনসিসি ক্যাডেটরা ভলান্টিয়ারের কাজ করেন। রাকেশ কুমার নামে এক অ্যাজমা রোগী জানিয়েছেন, তার ভাইকে এই ওষুধ খেয়ে সেরে যেতে দেখেছেন। এরপর তিনিও এই ওষুধ নিতে আসেন।
শোনা যায়, গাউদ পরিবারকে এই থেরাপি শিখিয়েছিল এক হিন্দু সন্ন্যাসী। ১৮৪৫ সালে এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ শেখার পর থেকেই এই পরিবার বিনামূল্যে অ্যাজমা রোগীদের ‘ফিশ প্রসাদম’ দেন। গাউদ পরিবারের দাবি, ছোট ছোট জ্যন্ত মাছ গলায় গিয়ে ঘোরাফেরা করে। ফলে গলা থেকে কফ সরিয়ে দেয় এই মাছ, ফলে রোগীরা সহজেই শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারেন। এই মাছ খাওয়ার পর ৪৫ দিন একটা স্ট্রিক্ট ডায়েট মেনে চলছে হয় রোগীদের। মাছটা খাওয়ার পর আধঘণ্টা জল খাওয়া যায় না।