ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী (গিরিরাজ সিংহ) - BD News Online

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী (গিরিরাজ সিংহ)


বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখতে হিন্দুদের সংখ্যাগুরু থাকাটা একান্তই দরকার। শুধু তাই নয়, মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধিও জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। এমনই মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ।


ভারতের জনঘনত্বের পরিবর্তন জাতীয়তাবাদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে দাবি করেছেন মোদী সরকারের এই মন্ত্রী। গিরিরাজ সিংহ আরও জানিয়েছেন যে দেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হওয়ার পথে হাঁটলে সামাজিক ঐক্য। থমকে যাবে জাতীয় উন্নয়ন।


দেশের সার্বিক উন্নতির স্বার্থে পরিবার পরিকল্পনার পক্ষে সওয়াল করেছেন মন্ত্রী গিরিরাজ। তাঁর কথায়, “জাতীয় স্বার্থে এখনই পরিবার পরিকল্পনা আইন প্রণয়ন করা হোক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশভাগের পর এ দেশে মুসলমানদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে অথচ পাকিস্তানে কার্যত নিশ্চিহ্ন হিন্দুরা।” দেশে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি দেশের পক্ষে বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 


এই বিষয়ে গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশ, অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের ৫৪টি জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এই বৈপরীত্য দেশের একতা এবং অখণ্ডতাকে সঙ্কটে ফেলবে।” একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, “ভারতের সকল জায়গায় হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে, সেখানেই সামাজিক ঐক্যের ক্ষয় হয়েছে, সঙ্কটে পড়েছে জাতীয়তাবাদ।”
গিরিরাজ সিংহ

অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়েও মুখ খুলেছেন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। হিন্দু-মুসলিম সকল সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে রাম মন্দির নির্মাণে এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তাঁর মতে, “অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়।

 খুব শীঘ্রই সুন্নিরাও একমত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ শিয়া, সুন্নি এবং হিন্দু সকলেই রামচন্দ্রের বংশধর।”