চাকরির লোভ দিখিয়ে ফ্ল্যাটে ডেকে তরুণীকে ধর্ষণ
চাকরি দেওয়ার নামে ফাঁকা ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দমদম ক্যান্টনমেন্টে৷ তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ একই সঙ্গে ধর্ষণে অভিযুক্তের ফ্ল্যাটে ভাঙচুরের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে দুর্গানগরের এক তরুণীকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় দমদম ক্যান্টনমেন্টের বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দা নিতাই ঘোষ৷ অভিযোগ, ওই তরুণীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত নিতাই৷
কোনওমতে নিতাইয়ের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন তরুণী। থানায় অভিযোগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই দমদম থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্যাতিতার পরিজন ও এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত নিতাইয়ের বাড়ি ও পাশের কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ৷ নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা৷
এয়ারপোর্ট খলিসাকোটার বাসিন্দা ওই তরুণীর অভিযোগ, পেশায় বিমা কোম্পানির এজেন্ট নিতাই ঘোষ চাকরির জন্য মঙ্গলবার দুর্গানগরে নিতাইয়ের ফ্ল্যাটে যান তিনি৷ সেখানেই ওষুধ খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ জ্ঞান ফিরলে নিগৃহীতা চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। প্রতিবেশীরা দমদম থানায় খবর দেন। নিগৃহীতার বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা নিতাইয়ের ফ্ল্যাটে চড়াও হয়।
দমদম থানার পুলিশ নিতাই ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাকপুর আদালত। যদিও শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছেন না নিগৃহীতা। কেন তিনি শারীরিক পরীক্ষা করাতে চাইছেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযুক্তের ফ্ল্যাটে ভাঙচুরে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
