-->

কারামুক্ত হলেন লক্ষীপুরের সেই সিভিল সার্জন

ভ্রাম্যামাণ আদালতে ৩ মাসের সাজা আদেশের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হলেন লক্ষীপুরের সেই  সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন শরীফ।

মঙ্গলবার ( ০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় লক্ষীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক মীর শওকত হোসেন ৫ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন। দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে কারাগার থেকে স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

এ সময় সাবেক সিভিল সার্জন তার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় এবং সিনিয়র চিকিৎসক যেন অসম্মানিত বা অপমানিত না হন এ জন্য জোর দাবী জানাই। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টের নামে যে তৎপরতা চালানো হচ্ছে অবশ্যই এটি বন্ধ করা সহ যারা এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীও জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. নিজাম উদ্দিন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. নুরুল ইসলাম,  ও ডা. হামিদ প্রমুখ।

সালাউদ্দিনের আইনজীবি রাসেল মাহমুদ মান্না জানান. অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ডা. সালাউদ্দিন শরীফের জামিন আবেদন করলে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকা দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের বড় ছেলে মিনহাজের সঙ্গে বাক বিতন্ডা হয়। তখন ডা. সালাহ উদ্দিন এগিয়ে এসে পরিচয় জানতে চান। কিন্তু এডিসি পরিচয় না দিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে এডিসিকে থাপ্পড় মারেন ডাক্তার।

এসময় বাবা ছেলে ও এডিসি’র মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ ডেকে ডাক্তারকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় ডাক্তারকে।





খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা প্রশাসনের সকল সেবা কার্যক্রম ও সকল হাসপাতাল ক্লিনিক বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে নিঃশর্তভাবে ওই চিকিৎসকের মুক্তি দাবিকরেন।


জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে প্রায় আধা ঘন্টার মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তারা। তবে বৈঠকে চিকিৎসকরা তড়ি ঘড়ি করে সাজা দেয়ার বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসককের কাছে প্রশ্ন তোলেন। এসময় জেলা প্রশাসক আপিল করলে সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন বলে জানান চিকিৎসকরা।

Baca juga

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন