বিএনপির প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ: খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমাদের দল ও তারেক রহমানের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে ভালোবাসা তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’ শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় তারেক রহমানের ওপর লেখা তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বইগুলো হলো- মাহবুবুর রহমানের ‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’, সাইফুর রহমান রচিত ‘তারেক রহমানের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি’ এবং সাইফুল ইসলামের ‘দীপ্তিমান দেশনায়ক’। বই তিনটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বইগুলোতে তারেক রহমানের বিভিন্ন সময়ের ছবি ও বিএনপির ২০০১ সালের পর ক্ষমতায় থাকাকালীন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকে কেন্দ্র করে তারেক রহমানের কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জানাজায় দেশের মানুষ যেভাবে শরিক হয়েছিলেন, একইভাবে আমার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায়ও তারা এমন ভালোবাসা দেখিয়েছেন। তাই আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’
বড় ছেলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেভাবে দেশের মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন, তারেক রহমানও সেভাবে ছুটে বেড়িয়েছে। সে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর ফলেই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল।’
তারেক রহমানের নেওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাষ্য, ‘তার সম্পর্কে আপনারা যতটুকু জানেন ও বোঝেন, দেখবেন সে বিদেশে চিকিৎসাধীন হয়েও দেশ থেকে কেউ গেলে দেশের অবস্থা জানতে চায়। কারণ তার নেওয়ার মতো কিছু নেই। সবাই দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসাধীন হয়েও তারেক রহমান মাঝে মধ্যে যে বক্তব্য দেয়, দেখবেন সে অনেক সত্যি কথা বলে। সত্যি কথা যেন জানাজানি না হয় সেজন্য সরকার তার বক্তব্য প্রচার করতে দেয় না। বরং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে তারেক নয়, বরং নিন্দুকদেরই চরিত্র কলুষিত হচ্ছে।’
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাব হোসেন চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ডা.এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, আতাউর রহমান ঢালী, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা।
এছাড়াও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এমাজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, নাজিমউদ্দিন আলম, নূরে আরা সাফা, আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা, সুলতানা আহমেদ, সানাউল্লাহ মিয়া, ওবায়দুর রহমান চন্দন, কাজী আবুল বাশার, হেলেন জেরিন খান, মুনির হোসেন, ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
