শিশু পড়ুয়া সাড়ে তিন বছরের বাচ্ছাকে লাগাতার যৌন হেনস্তার অভিযোগ
ভারতের একটি স্কুলে শিশু পড়ুয়ার উপর যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল৷ এবারও অভিযুক্ত কলকাতার একটি নামী বেসরকারি স্কুল৷ দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে সাড়ে তিন বছরের ওই শিশুর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ বেহালা থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করা হয়৷ কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত এগোয়নি বলে অভিযোগ৷
বেহালার জেমস লং সরণির ওই স্কুল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি আমল দেয়নি৷ বরং সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বলে শনিবার সকালে জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা৷ তার পর থেকে আতঙ্কে স্কুলে যেতে পারছে না শিশুটি৷ জিডি বিড়লার ঘটনা টিভিতে দেখে তার আতঙ্ক আরও বেড়েছে বলে দাবি করলেন শিশুটির মা৷ যদিও এ নিয়ে ওই স্কুলের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
শনিবার সকালে শিশুটির মা জানান, চলতি বছরের জুন মাসে প্রথমবার বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে৷ শিশুটি তার গোপনাঙ্গে হাত দিচ্ছে দেখে মায়ের কৌতুহল হয়৷ তিনি জানতে চান কেন এমন করছে৷ তাতেই শিশুটি জানায়, স্কুলের কাকুরাও তো হাত দেয়৷ ওই মহিলার দাবি, এর পরই তিনি স্কুলে যান৷ কথা বলেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করে৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়৷ কিন্তু ওই ফুটেজে শিশুটিকে স্কুলের শৌচালয় থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়৷ তার পরই তাঁরা এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চান বলে মায়ের দাবি৷ এর পর এই ধরনের ঘটনা আর হবে না বলে তখন স্কুলের তরফে জানানো হয়েছিল৷
সাড়ে তিন বছরের ওই শিশুর মায়ের দাবি, মাস তিনেক পর ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি মেয়ের জামায় রক্তের দাগ দেখেন৷ মেয়ের গোপনাঙ্গেও ব্যথা ছিল৷ পরে স্থানীয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা যৌন নির্যাতনের বিষয়টি স্পষ্ট করেন৷ মেয়েটির বাবার অভিযোগ, বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু পুলিশ জানায়, অভিযোগ দায়ের হলে বাচ্চাকে হোমে পাঠানো হবে৷ ফলে সেদিন ভয় পেয়ে তাঁরা আর অভিযোগ দায়ের করেননি৷ দু’দিন পর আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ দায়ের করেন৷
তার পর প্রায় আড়াই মাস কেটে গিয়েছে, এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি৷ মেয়েটিও আর স্কুলে যেতে পারছে না৷ যদিও এখনও কেন ঘটনার তদন্ত এগোয়নি এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
