সুস্বাস্থ্যের জন্য আট ঘণ্টা ঘুম কতটা জরুরী?
পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন চালানো গবেষণায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, কারা বেশি রোগাক্রান্ত হয়। যারা কম ঘুমায় কিংবা যারা বেশি ঘুমায় তারা নানা রোগে আক্রান্ত হয় এবং কম বাঁচে।
কম ঘুমানোর কারণে তারা রোগাক্রান্ত হচ্ছে কি না সেটি বলা বেশ কঠিন। এখানে কম ঘুমানো মানুষ বলতে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে যারা রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমায়। অন্যদিকে বেশি ঘুমানো মানুষ বলতে তাদের বোঝানো হয়েছে যারা নয় কিংবা ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমায়।
বয়:সন্ধিকালের আগ পর্যন্ত প্রতি রাতে ১১ ঘণ্টা ঘুমানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নবজাতকের জন্য প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছর তাদের প্রতিরাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের মস্তিষ্ক বিষয়ক গবেষক শেন ও’মারা বলেন, শুধু কম ঘুমের কারণেই স্বাস্থ্য খারাপ হয় কি না সেটি বলা খুব কঠিন। তবে একটির সাথে আরকেটির সম্পর্ক আছে।
উদাহরন স্বরূপ বলা যায়, যারা কম ব্যায়াম করে তারা কম শারীরিকভাবে কম ফিট থাকে। ফলে যার ফলে বেশি ঘুম পায় এবং নিজেকে ক্লান্ত মনে হয়। আবার ক্লান্ত থাকার কারণে ব্যায়াম করা কমে যায়।
অনেকে আছেন যারা সাংঘাতিক ভাবে ঘুম বঞ্চিত। রাতে এক-দুই ঘণ্টার বেশি তাদের ঘুম হয় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।
ঘুম কম হবার কারণে শারীরিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পৃথিবীজুড়ে ১৫৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং মোটা হয়ে যাবার সম্পর্ক আছে। প্রায় ৫০লাখ মানুষের উপর এসব গবেষণা চালানো হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা কয়েক রাত যদি ঘুম কম হয় তাহলে সেটি ডায়াবেটিসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের নিদ্রাহীনতা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শরীরের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
ঘুম কম হলে টিকার কার্যকারিতা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম হলে ক্ষুধার তীব্রতা বাড়ে এবং এতে বেশি খাবারের চাহিদা তৈরি হয়। ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি বিভ্রম তৈরি হতে পারে।
অধ্যাপক ও’মারা বলেন, দিনের বেলায় মস্তিকের ভেতরে নানা ধরনের জিনিস তৈরি হয় এবং রাতে ঘুমের মাধ্যমে সেগুলো অপসারণ হয়ে যায়। এ কারণে মস্তিষ্ক দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
তবে অতিরিক্ত ঘুম হলে শরীরের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে সেটি পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না
কোন্ কাজে অসুস্থতার জন্য কত % ছুটি নেয়া হয়
আমরা যখন ঘুমাই তখন গুমরে কয়েকটি স্তরের ভেতর দিয়ে যাই। ঘুমের একটি চক্র আছে। প্রতিটি চক্র ৬০ থেকে ১০০ মিনিট পর্যন্ত থাকে। ঘুমের বিভিন্ন স্তরের সময় আমাদের শরীরের ভেতরে যেসব বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে।
এ স্তরগুলোর মধ্যে আছে- ঘুম-ঘুম ভাব, হালকা গভীর ঘুম এবং গভীর ঘুম।
শিফট অনুযায়ী কাজ করলে সেটি স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক ফেলে। গবেষকরা বলছেন, যারা শিফটে কাজ করেন তারা দিনের এমন এক সময়ে ঘুমাতে যান যখন তাদের ঘুম কম হয়। ফলে তাদের ডায়াবেটিস এবং মোটা হয়ে যাবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের রিপোর্ট দেখে মনে হয় আমরা সাংঘাতিক নিদ্রাহীনতায় ভুগছি। কিন্তু আমরা কি আসলেই আগের চেয়ে কম ঘুমাচ্ছি? কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোন কোন দেশে মানুষের মাঝে গড়ে ঘুমের সময় বেড়েছে। আবার কোথাও কিছুটা কমেছে।
ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পানের কারণে গুমের উপর প্রভাব রাখতে পারে।
আমাদের জীবন, স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থার উপর ঘুমের প্রভাব কতটা -সেটা কি আমরা জানি? প্রতিদিন আমাদের কতক্ষণ ঘুমানো উচিত? আমরা প্রায়ই শুনি যে প্রতি রাতে আমাদের আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এবং আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলে, প্রতি রাতে আটঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু আট ঘণ্টা ঘুমের এ ধারনা কোথা থেকে আসলো? সূত্র- বিবিসি
Baca juga
***কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
***জীবন নিয়ে উক্তি-জীবন নিয়ে কিছু কথা
*** ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম
-----------------------------------------------------------------------*** How to root an android device 2022
*** How long does a heart attack last
*** YouTube video download to USB or Hard disk
***How To Delete YouTube Search History
***How To Write a Check with Cents
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন